জরায়ুমুখের ক্যানসার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিশোরী ও তরুণীদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মেয়েদের ভ্যাকসিন নিতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের আয়োজনে র্যালি শেষে সায়েন্টিফিক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, দেশের দরিদ্র নারীরা যেন সহজে ভ্যাকসিন পেতে পারেন সে বিষয়ে সরকার এবং বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারলে দেশে জরায়ুমুখের ক্যানসার নির্মূল করা সম্ভব।
এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের সামনের রাস্তায় অনুষ্ঠিত র্যালিতে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট প্রফেসর মেজর. (অব.) লায়লা আরজুমান্দ বানু, ল্যাব এইড গ্রুফের পরিচালক ডা. সুচরিতা আহমেদ এবং প্রফেসর আফজালুন নেসা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক তরুণ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে অধ্যাপক আফজালুন নেসা চৌধুরী এবং ডা. মাহবুবা সারাদেশে জরায়ুমুখের ক্যানসারের বিস্তৃতি, ঝুঁকি এবং প্রতিরোধ ও করণীয় সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সায়েন্টিফিক সেমিনার ও প্রশ্নত্তোর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডা. নাহিদ সুলতানা যুথী। সেমিনারে ইনসেপ্টার পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার হোমায়রা ফাতেমা।
র্যালি শেষে গণটিকা কর্মসূচির আওতায় জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধী ইনসেপ্টার ‘প্যাপিলোভ্যাক্স’ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
সেমিনারে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট প্রফেসর মে. (অব.) লায়লা আরজুমান্দ বানু। প্যানেল বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ল্যাবএইড স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর রহিমা বেগম এবং বিএসএমএমইউ এর গাইনো অনকোলজিস্ট বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর সাবেরা খাতুন, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগ এবং ফার্টিলিটি সেন্টারের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর মরিয়ম ফারুকী সাথী, হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট মে. জে. (অব.) ডা. মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং ল্যাবএইড কানসার হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. পারভীন আক্তার বানু।