মুক্তির প্রথম দিনেই দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের ‘ভাগ্য’। এ সিনেমায় নিপুণের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মুন্না।
মাহবুবুর রশিদ পরিচালিত এ সিনেমাটি দেশের ২১টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালের শোতে ঢাকার কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাপ্রেমীদের ভিড় দেখা গেছে। সিনেমাটি দেখার পর ইতিবাচক মন্তব্যও করেছেন দর্শকরা।
দুপুরে রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টারে সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সময়ের শো-তে দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল। এদিকে পুরোনো ঢাকার ইংলিশ রোডের ‘চিত্রামহল’ ও জিঞ্জিরার ‘নিউ গুলশান’ হল ঘুরে দেখা গেছে- হল ভর্তি দর্শক।
যমুনা ব্লকবাস্টারে সিনেমা দেখতে এসেছেন মাহবুবুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমি সিনেমা দেখতে এসেছি। ছবিটির গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে নিপুণ ও মুন্নার অভিনয় মন কেড়েছে।
এদিকে দুপুরে শো দেখে পুরোনো ঢাকার ইংলিশ রোডের ‘চিত্রামহল’থেকে বের হয়েছেন দর্শক নাসিমা আক্তার। এসময় তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছবি দেখতে খুব একটা সময় পাই না। কিন্তু নিপুণের ছবি মুক্তি পেলে মিস করি না। প্রথম শো দেখা চেষ্টা করি। আজকে পারি নাই। তাই দুপুরের শো দেখলাম। খুব ভালো হয়েছে সিনেমাটি।
নাসিমা আক্তার আরও বলেন, বিশেষ করে নায়ক মুন্নার সঙ্গে খুব ভালো মানিয়েছে নিপুণকে। এর আগে সিনেমা দেখেছিলাম এই জুটির। এবার দেখলাম দ্বিতীয় সিনেমা খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি সামনে এই জুটির আরও সিনেমা দেখবো।
সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ আবারও প্রেক্ষাগৃহে আসছে। বিশেষ করে ‘হাওয়া’ ও ‘পরাণ’ সিনেমার কারণে হলে আসছে দর্শক- এই কথা যোগ করে ভাগ্য সিনেমার নায়ক মুন্না বলেন, আমাদের সিনেমাটি আসলেই দর্শক দেখছে। সকালের শোতে বগুড়া-যশোরের সব হলেই হাউস ফুল হয়েছে। দুপুর, বিকেল ও রাতের শোগুলো হাউজ ফুল হবে বলে প্রেক্ষাগৃহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা আমাকে বলছেন- ঈদে যেরকম সেল হয় সে রকমই সেল হচ্ছে। এই সময় আমাদের সিনেমাপ্রেমীদের উচিত সিনেমার পাশে থাকা।
চিত্রনায়ক মুন্না বলেন, ভালোভাবে সিনেমার কাজটি করার চেষ্টা করেছি। নিপুণের সঙ্গে এর আগে ‘ধূসর কুয়াশা’য় কাজ করার কারণে রসায়নটা ভালো হয়েছে। সিনেমাটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত, আশা করছি সব শ্রেণির দর্শকদের পছন্দের সিনেমা হবে ‘ভাগ্য’।
সিনেমাটিতে মুন্নার অভিনয় প্রশংসা কুড়াচ্ছে দর্শকের কাছ থেকে। এছাড়া নিপুণ আক্তারের অভিনয়ও সিনেমাটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। নির্মাণের প্রতিটি ফ্রেমে দক্ষতার ছাপ রেখেছেন পরিচালক মাহবুবুর রশিদ।
দেশপ্রেম ও সামাজিক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ভাগ্য’ সিনেমাটি। হালিমা কথাচিত্রের ব্যানারে এতে আরও অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ, গুলশান আরা, সাংকো পাঞ্জা, জেসমিন, আফসানা নূপুর, গাঙ্গুয়া, সাবিহা জামান প্রমুখ।
সিনেমাটির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা মো. মাহবুবুর রশিদ। সহযোগী পরিচালক ছিলেন নিরঞ্জন বিশ্বাস। এ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বেলাল খান, দিনাত জাহান মুন্নী, স্মরণ, কাজী শুভ, সুস্মিতা সাহা। সংগীত পরিচালনা করেছেন ঝংকার খন্দকার।