বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার অমর সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে দিতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসব। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বর্ণিল এই উৎসবের প্রথম দিন অংশ নেন বাংলাদেশ ও ভারতের অর্ধশতাধিক শিল্পী। তাদের পরিবেশিত সংগীত, নৃত্যের তালের নান্দনিকতা ও কবিতার মুখরিত উচ্চারণে মুগ্ধ হন দর্শকরা।
উদ্বোধনের দিন স্মারক বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ’কাজী নজরুল ইসলামের দর্শনে প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কারণ, বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করেছিলেন নজরুল। ১৯২৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত মাঙ্গলিক কবিতায় প্রথম বাংলাদেশ নামটি উঠে এসেছিল। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঐক্যের সম্মিলন ঘটেছিল।
এ আয়োজনের লক্ষ্য তুলে ধরে উৎসবের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নজরুলের সৃষ্টিকর্ম ও তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে নজরুল সংগীত সংস্থা। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশব্যাপী শুদ্ধ, প্রমিত সুর ও বাণীতে নজরুলের সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুল সংগীত প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হয়েছে।
উৎসবের আলোচনায় আরও অংশ নেন ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, এইচএসবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান, গুলশান সোসাইটির সভাপতি এটিএম শামসুল হুদা ও কবি নাতনি খিলখিল কাজী।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পাঁচটা থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের উৎসব। এদিন নজরুল সংগীত কোষের নবপর্যায় উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। নবপর্যায়ে ১২৫ জন শিল্পীর কণ্ঠে আদি সুরে রেকর্ড করা নজরুল সংগীত সবার জন্য ইউটিউবে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
নজরুল উৎসব যৌথভাবে আয়োজন করেছে নজরুল সংগীত সংস্থা, গুলশান সোসাইটি ও ভারতীয় হাইকমিশন পরিচালিত ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (আইজিসিসি)। সহযোগিতায় রয়েছে হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন