বাসায় একটু বিদ্রোহী ভাব দেখাইলে বউ বলে তোমাকে পাবনা পাঠিয়ে দিবো। দশজন পুরুষের মতো আমাকেও চুপচাপ থাকতে হয়। বাপ-চাচাদের দেখে বড় হয়েছি। মানতে অসুবিধা হয় না। সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে নিজেই উদ্যোগ নিলাম পাবনা বেড়াতে যাবো। দাম্পত্য জীবন থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পারলে মন্দ কী! বিষয়টা বাসায় গোপন রাখলাম। বেড়ানোর কথা বলতে গেলে নানা রকম প্রশ্ন করবে।
সহকর্মী পাপ্পুকে দিয়ে ঢাকা টু পাবনা বাসের টিকিট কাটিয়ে রাখলাম। যাওয়ার দিন ঘটিয়ে আসছে। বাসায় বলার সাহস পাচ্ছি না। ভাবলাম হুটহাট ব্যাগ নিয়ে চলে যাবো।
পরিকল্পনামতো একদিন রাতে খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। ব্যাগ গুছিয়ে রুমে দরজা খুলে দেখি বউ দাঁড়ানো। প্রশ্ন করার আগেই আমি বললাম ঢাকার বাইরে যাচ্ছি। একপলক তার চোখের দিকে তাকানোর পর মনে হলো পুড়ে যাবো, মরে যাবো চোখের আগুনে। আমি দ্রুতপদে রুম থেকে বের হচ্ছি। সে পিছে পিছে দরজা পর্যন্ত আসলো। কানে বাজলো, ‘উড়তেছো বহুত। আমার চোখে কিছু না পড়লেই ভালো। ধরা পড়লে ডানা কাইটা পাবনায় পাঠিয়ে দিবো।’