গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর কতৃক বাস্তবায়িত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় উৎপাদনকারী দলের সদস্যদের মাঝে মুরগীর আওতায় জলবায়ু সহিঞ্চু ঘর বিতরন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজনে ক্লাইমেট স্মার্ট সেড নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সার্বিক তত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রাণী সম্পদ সেবাদানকারীর সহযোগিতায় খামারীদের মাধ্যমে শেড নির্মাণ কাজ সুন্দর ভাবে সম্পুর্ন হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ক্লাইমেট স্মার্ট শেড নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা শেড নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং গাইড লাইন অনুসারে শেড নির্মাণ কাজ তদারকি করেন। অত্র উপজেলায় তারাপুর ইউনিয়নে ৩০টি,বেলকা ইউনিয়নে ৩০ টি, সর্বানন্দ ইউনিয়নে ৩০টি, কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নে ২৮টি ও হরিপুর ইউনিয়নে ২৮ টি সহ মোট ১৪৬টি মুরগির আবহাওয়া সহিষ্ণু শেড নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। খামারীরা মুরগীর আবহাওয়া সহিষ্ণু ঘর পেয়ে নতুন ভাবে খামার করার উৎসাহ হচ্ছে।
খামারিরা বলেন, উৎপাদনকারী দলের সদস্য হিসেবে তারা নিয়মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়ে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক খামার গড়ার উদ্দীপনা পেয়ে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করেছেন।
তারাপুর ইউনিয়নের উৎপাদনকারী দলের সদস্য দুলালী, হাসনা, মঞ্জুরী, নুরিফা ও শরিফা বেগম বলেন, “হামরা পশু হাসপাতালের ঘর পায়া খুব খুশি বাহে, নতুন করে আরও মুরগী নাগামো”। অন্য দিকে, সর্বানন্দ ইউনিয়নের উৎপাদনকারী দলের সদস্য জুই, নাজমা, মৌসুমি ও হাবিবুন নাজিরা বলেন, “ঘর সুন্দর করি বানাচোম, মুরগী যেন কোনো কষ্ট না পায়”।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নত সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারীরা স্মার্ট খামার গড়ে নিজেরা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এসময় তিনি আরও বলেন, এ ধরনের স্মার্ট শেডে মুরগী লালন পালন করলে মুরগীর রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে এবং ডিম ও মাংস উৎপাদন অনেকাংশে বেড়ে যাবে।