রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার ৭ আসামিকে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে, বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন।
গত ১১ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালে ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামি। তারা হলেন-জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।
রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার ডেথ রেফারেন্স ঐ বছরের ৫ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে আসে। এরপর ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার এ পেপারবুক শুনানির জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়। চলতি বছর মে মাসে আপিল আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর শেষ হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটেছিল গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক, ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন।
এ হত্যাকাণ্ড সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার পর ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এ মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ।