নিয়োগ বানিজ্য ও ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসসহ বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার পরেও অপকর্ম পিছু ছাড়ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদের।
তিনি ক্যাম্পাসে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ফের বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
জানা যায়, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের একান্ত আস্থাভাজন। ভিসিকে নিয়োগ বানিজ্যসহ নানান অপকর্মের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ড. আজাদ।
সাম্প্রতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ডে ক্যান্ডিডেট সংগ্রহ ও আর্থিক লেনদেনে বর্তমান ভিসিকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
ভিসিকে ফেভার দিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভিসি পন্থী শিক্ষক প্যানেলকে জয়ী করতে কাজ করে যাচ্ছে ড. আজাদ।
ভিসির আস্থাভাজন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে নিযুক্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে ভিসি পন্থী শিক্ষক প্যানেলকে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ভিসির নিয়োগ বানিজ্যের পদ পরিস্কার করতেই তিনি এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে একাধিক সিনিয়র শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ বর্তমান প্রশাসনের ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ অধিকাংশরাই দুর্নীতিগ্রস্থ। এছাড়া প্রশাসনের আশেপাশে যারা রয়েছেন তারাও দুর্নীতিবাজ। যা বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ থেকে সহজে অনুমেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে অধ্যাপক পদমর্যাদা থেকে সহযোগী অধ্যাপকে পদাবনতি করেছিল তৎকালীন প্রশাসন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদের মন্তব্যের জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।