বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে যান চলাচল বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে মানুষের চলাফেরাও।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। একই সঙ্গে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সকাল থেকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, এয়ারপোর্ট ও বনানী ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের চেয়ে বেশি গাড়ি চলাচল করছে। বাস স্টপেজগুলোতে মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।
সকালের দিকে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার বাস রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি বাস রাজধানী থেকে ছেড়েও যায়।
এদিকে বুধবার গাড়ির চাপ বাড়ায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় যানজট দেখা গেছে। চৌরাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক কনস্টেবল মফিজার রহমান বলেন, আজ গাড়ি অনেক বেশি। সিগন্যাল দেওয়া লাগছে, না হয় জ্যাম বেধে যাচ্ছে।
সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর বনানী ও এয়ারপোর্ট এলাকায় দেখা যায়, সড়কে একের পর এক গাড়ি চলছে। তবে পথচারী তেমন একটা দেখা যায়নি। অফিসগামী মানুষের সংখ্যাই বেশি। যে গাড়িগুলো রাস্তায় চলাচল করছে তাতেও ভিড় নেই৷ অনেক গাড়ির সিট ফাঁকা। কোনোরকম সিগন্যাল ছাড়াই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে। সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় সড়কে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এয়াপোর্ট সড়কে চলাচলকারী ভিআইপি গাড়ির চালকের সহকারী রাব্বি বলেন, ফজরে গাড়ি নিয়া বাইর হইছি। গতকাল দুইটা ট্রিপ মারছি। আজ চিন্তা করছি সারাদিন ট্রিপ দিমু। রাস্তায় যাত্রীর অভাব নাই।
কাওলা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা শাকিল আহমেদ বলেন, আমার অফিস বনানীতে। হরতাল-অবরোধ যাই হোক, অফিস করতে হবে। অবরোধে অফিস বন্ধ থাকে না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই পর্যাপ্ত গাড়ি রয়েছে।
এদিকে গতকালের মতো আজও সড়কে ব্যক্তিগত যান, মোটরসাইকেল ও রিকশার চলাচল বেশি দেখা গেছে। প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে টহল পুলিশ।