শরতের শুভ্র ভোরে শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে সূচনা হলো দেবী পক্ষের। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া শুরু হলো আজ।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। এই দিনেই দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। মহালয়া মানে আর ছয় দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।
পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান।
দেবীকে আমন্ত্রণ জানাতে ভোর থেকেই মন্দিরে ভীড় করেছে ভক্তরা। তাদের প্রত্যাশা সকল শঙ্কা কাটিয়ে এবারের পূজা হবে সর্বজনীন। ভক্তরা জানান, দুর্গা মায়ের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ।
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই দুর্গাপূজার আনন্দধ্বনি শোনা যাবে। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের। তবে গতবছরের তুলনায় আয়োজন কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তথ্য অনুযায়ী এবছর দেশ জুড়ে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে দেবীর পূজা উদযাপন হবে।